বরিশাল ব্যুরো : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেছেন, আওযামীলীগ কচুপাতার উপর টল টল করা পানি না যে টোকা দিলেপরে যাবে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া একটি রাজনৈতিক দল।আওয়ামীলগকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনামায়ের মতো দেশ পরিচালনা করছেন।আর বিএনপি ক্ষমতা পরিবর্তনেরজন্য রক্তাক্ত পথ বেছে নিয়েছে। আওয়ামী লগের নেতাকর্রা তাদেরসন্ত্রাস রুখে দিবে।গতকাল শনিবার বিকেলে বরিশাল নগর ভবনেরসামনের সড়কে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বরিশাল আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথাবলেন। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশালজেলা পরিষদের চেয়ারমযান এ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীরেরসভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, বিএনপি পদ্মা সেতু পার হয়ে বরিশালেসমাবেশ করতে এসে উন্নয়নের কোন কথা বলতে পারেন নি। কেননাবরিশালে যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনারহাত ধরেই হয়েছে। আমরা শান্তি সমাবেশে আছি বলে এই নয় যেআমরা প্রতিবাদী হতে পারবো না। সুতরাং বিএনপি জামাত অপশক্তিরযদি সন্ত্রাস করে তখন আওয়ামী লীগ নিশ্চুপ হয়ে বশে থাকবে না। এইমাটির সন্তান আমরা। মাটির সন্তান হিসেবে আমাদের পুর্ব পুরুষদেরকথা মাথায় রেখে আমরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সামনেরদিকে এগিয়ে যাবো।তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে নৌকায় ভোটদেওয়ার অপরাধের ভোলার লালমোহনের ধানখেতের মধ্যে পলাতেহয়েছিলো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিদের।রামশীলে আশ্রয় নিয়েছিলোহাজার হাজার মানুষ। তারা লুটপাট করেছে সন্ত্রাস করেছে। এ কারনে বরিশালের সমাবেশেকোন উন্নয়নের কথা বলতে পারেনি। বরিশালে বিএনপির কমিটি হচ্ছেআবার ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। কমিটি নিয়ে ওদের মধ্যে গৃহদাহ শুরু হয়েছে।ক্ষমতায় গেলে ওরা দেশ চালাবেন কিভাবে। প্রধান বক্তা হিসেবেবরিশাল সিটি করপোরেশন মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগেরসাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন প্রধানমন্ত্রীজননেত্রী শেখ হাসিনা কখনোই প্রতি হিংসার রাজনীতি করেন না।আমরাও কখনোই প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। বরিশালে যেন শান্তিবজায় রাখতে পারি আমরা সেভাবেই কাজ করবো। সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবন্দ বলেন, আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আমাদের মাথার উপরে আছেন বঙ্গ বন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুকনা কেনো বঙ্গ বন্ধু আর শেখ হাসিনাকেকোন দিন বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা যাবেনা। বিএনপি বরিশালেউন্নয়নের পরিবর্তে খুন হত্যা আর ধর্ষনের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।কিন্ত আওয়ামী লীগ বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিন পচ্ছিমাঞ্চলের মানুষেরজন্য পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর, রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মানকরেছেন। বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। বক্তারা বলেনকরোনা ও ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যেও জননেত্রী শেখ হাসিনাযেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রেখেছেন তা সারা বিশ্বে প্রসংশাকুড়িয়েছে। বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে সারা দেশে যেসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃস্টি করছেন বরিশালে তা করতে দেওয়া হবেনা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান, গোলাম রাব্বানীচিনু, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেকসংসদ সদস্য এ্যাড তালুকদার মো: ইউনুছ, বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মো : আনিচুর রহমান, বরিশাল মহানগরআওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাড আফজালুল করীম, প্যানেল মেয়রগাজি নঈমুল ইসলাম টিটু, ছাত্রলীগের আহবায়র রইচ আহম্মেদ মান্নাপ্রমুখ বক্তৃতা করেন।এর আগে বিকেল তিনটা থেকে খন্ড খন্ড মিছিলনিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সামনে সমাবেশ স্থলে জড়ো হতেথাকে। বিকল ৪ টার মধ্যে পুরো সমাবেশ স্থল নেতা কর্মিদের উপস্থিতিতেকানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে যায়।