বরিশাল ব্যুরো
পুলিশ সদস্য কর্তৃক একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। বরিশাল নগরীর ধান গবেষণা এলাকায় রোববার দুপুরে এই হামলার পর সোমবার কোতয়ালী থানায় এই অভিয়োগ করা হয়। আহতরা হচ্ছেন, ধান গবেষণা এলাকার বাসিন্দা সোহরাব খান, তার ছেলে রিয়াজ খান, স্ত্রী পারুল বেগম ও ভাগ্নে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ছাত্র ফয়সাল। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলা চালায় পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার কনস্টবেল মো: সজল হাওলাদার, তার পিতা জাকির হাওলাদার, মা নাসিমা বেগম, সিজন হাওলাদার ও এনি।
আহত সোহরাব খান এর ছেলে মো: রুম্মান খান জানান, আমাদের পার্শবর্তি বাসিন্দা জাকির হাওলাদারদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে। জাকির হাওলাদারের ছেলে সজল পুলিশ হওয়ার পর থেকে তারা নানা ভাবে আমাদের উপর হামলা ও ঝামেলা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে আমার মায়ের সাথে কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বজল তার মায়ের শরীরে ইট ছুঁড়ে মারে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। তার ডাক চিৎকারে আমার ভাই রিয়াজ, বাবা ও ভাগ্নে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে সজল, তার ভাই সিজন, বাবা জাকির, মা নাসিমা ও খালাতো ভাইসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাদের এলোপাথাড়ি হামলায় আমার বাবা মা, ভাই ও ভাগ্না গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে রিয়াজ ও তার বাবা সোহরাবের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় আমরা একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য সজল হাওলাদার বলেন, হামলা আমরা করি নি। তারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ## (
Leave a Reply