নিজস্ব প্রতিবেদক : চুরির মামলায় হওয়া তিন বছরের সাজার হাত থেকে বাঁচতে ৩০ বছর পালিয়েও রক্ষা হয়নি ফিরোজ মল্লিকের (৬০)। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ফিরোজ মল্লিক (৬০) বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কালিহাতা গ্রামের আবদুল মজিদ মল্লিকের ছেলে। বিষয়টি বৃহষ্পতিবার বিকেলে নিশ্চিত করে বরিশালের উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মেহেদী হাসান মিলন জানান, চুরির ঘটনায় ১৯৯৩ সালে মামলা হয় গ্রেপ্তার ফিরোজ মল্লিকের বিরুদ্ধে। মামলার পরপরই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর সাক্ষ্য প্রমানের মধ্য দিয়ে বিচারিক কাজ শেষে ৩ বছরের সাজা দেয় আদালত। আর ওই সাজা এড়াতে ছদ্মবেশে নাম পরিবর্তন করে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ফিরোজ মল্লিক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে বেড়ান। এমনকি পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতেন না। এস আই বলেন, বর্তমানে গ্রেপ্তার ফিরোজ মল্লিকের বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। যখন মামলাটি হয়েছিলো তখন তিনি যুবক বয়সী, স্ত্রী সন্তানও ছিলো। তবে তাদের ভালোবাসা উপক্ষা করে নিজের এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায় ফিরোজ। সবশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশালের গৌরনদী থানাধীন এলাকা থেকে ফিরোজ মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে সে ভাঙ্গারির ব্যবসার সাথে জড়িত রেখেছেন নিজেকে। এরআগে ফিরোজ ঢাকা ও বরিশালেও পালিয়ে বেরিয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর প্রতিবেশীরাও ফিরোজকে সনাক্ত করে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে বুধবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এসআই মেহেদী হাসান মিলন। উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান বলেন, মামলায় সাজা হওয়ার পর পলাতক থাকায় ফিরোজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে সে তখন থেকেই পলাতক ছিলো। অবশেষে দীর্ঘ বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply