মো : নুরুল বশির
—————————-
কাল সারারাত আমি ঘুৃমোতে পারিনি।মাঝরাতে একটি হুতুম পেচার আর্তনাদ আমার শরীরের লোমকুপগুলোকে আতঙ্কিত করে সমস্ত শরীরকে হীম শিতল করে তোলে।আমি বুঝতে পারছিলাম না কেন এমন লাগছে।বিছানা ছেড়ে উঠে মন ভরে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেলাম।কিছুক্ষণ ঘরের মধ্যে হাটাহাটি করলাম।তারপর একটি রিভোটিল ট্যাবলেট খেয়ে আবার বিছানায় এসে শুয়েছি।মনে হলো আমার জানালা পাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে।ফিসফিস করে বলছে ইশ্বরের কাছে স্বীকারোক্তি করো তোমার সারা জীবনের পাপগুলো।ক্ষমা প্রার্থনা করো কনফেশন বক্সে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে। ইশ্বর তোমাকে তার অফুরন্ত সৃষ্টির মাঝে এখনো বাচিয়ে রেখেছে। সমগ্র পৃথিবীর মানুষ লাখ লাখ ডলার দিয়েও অক্সিজেন না পেয়ে বিভৎস যন্ত্রণায় মারা গেছে লাখ লাখ মানুষ। অথচ তুমি বিনা খরচে ইশ্বরের দেওয়া অক্সিজেন গ্রহন করে এখনো বেচে আছো মহান ইশ্বরের এ বিশাল শৈল্পিক সৃষ্টি মাঝে!! ভাবছি কি করবো এখন।কখন যে ভোর হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি। হঠাৎ আমার ছেলে আমাকে ডেকে বললো- আব্বু টেলিভিশনের খবর দেখো।ভয়ংকর ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়াকে।লাখো মানুষের হাহাকার। মাত্র ৪০ সেকেন্ডে মৃত্যুপুড়িতে পরিনত হয়েছে তুরস্ক। লাশের মিছিলে যেন ব্যাঙ্গো করছে আধুনিক মানব সভ্যতার ধারক বাহকদের। চল্লিশ সেকেন্ড আগে যে ছিল বিশাল ধনী সেই মানুষটিই এখন একটুকরো রুটির অপেক্ষায়। কখন আসবে ত্রান ; কিন্তু ইশ্বর যদি সে একটুকরো রুটির বরাদ্দ না দেন তাহলে মিলবে না সে ত্রান।যুগে যুগে ইশ্বরের সৃষ্টির মাঝে যখন মানুষ অবাধ্য অহংকারে নিজেকেই ইশ্বর ভেবেছে ঠিক তখনই ইশ্বরের বৈরী আচরণে ধ্বংস হয়ে গেছে সে লক্ষ কোটি জনপদ।আর এ জন্যই মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বার বার মানুষকে সতর্ক করেছে।পবিত্র কোরআনের সুরা লোকমানের ১৮ নং আয়াতে মানুষকে আল্লাহর জমিনে অহংকার করতে বারন করেছেন (চলবে)…
Leave a Reply