পাপে ছাড়ে না বাপেরেও
মো : নুরুল বশির
———————————
১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে জেনারেল জিয়ার সরকার ২০৭ টি সিট নিয়ে সংখ্যাগরিস্টের দাপটে ইনডেমনিটি আইন পাশ করেছিলেন জাতীয় সংসদে।তখন আওয়ামিলীগের একাংশে ৩৯ জন, আরেক অংশে ২ জন এবং সুরঞ্জিত সেন একজন ছিলেন।সেদিন সুরঞ্জিত সেন, আ: মালেক,মিজানুর রহমান সংসদে সংখ্যাগরিস্টের দাপটে এই নিকৃষ্ট আইন পাশ না করার জন্য বলছিলেন। তারা বলেছিলেন আজ সংখ্যাগরিষ্টের দাপটে যে অন্যায় বিএনপি করছে একদিন সময় আসবে যখন এই সংসদে ২০৭ জনতো ভালো আপনাদের ৭জন এম পি কেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।আজ সেদিনের সেই নেতাদের কথা-ই প্রমানীত। সংসদে হারাধনের ৭টি এম পি ছিল তা-ও আবার ভূয়ামী করে তুলে নিয়ে বুড়ো আঙ্গুল চুষতে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ৭ জনের একজন আবার দল থেকে পদত্যাগ করে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জিতে সংসদে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে জিয়া বলেছিলেন -সো হট!! ঠিক একই কায়দায় জিয়াও সেনাদের গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মরে পড়েছিলেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের বারান্দায়। ৪৭ এ পাক ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তানিরা যে দম্ভ নিয়ে বাঙ্গালীর উপর জুলুম নির্যাতন করেছে আজ সেই পাকিস্তান অনাহারে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। বাংলাদেশের কাছে সাহায্য চাচ্ছে। শুল্কমুক্ত বানিজ্য সুবিধা চাচ্ছে। পাকিস্তানের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রদেশ বাংলাদেশকে রোল মডেল করে তারা-ও স্বাধীনতা চাচ্ছে। আর এখনো এদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে যে সকল পাকিস্তানি প্রেমিকরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে, এখনো পকিদের বীজে জন্ম নেওয়া যে সকল মীরজাফরের দল পাকিদের পক্ষে কথা বলে, এখনো যারা বলে এখনকার চেয়ে পাকিস্তান -ই ভালো ছিল সেই বেজন্মাদের বলতে চাই এখনো সময় আছে নিজেদের নষ্ট রক্ত পরিশোধন করুন।নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করুন। অতীতের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন।পাপ কিন্তু বাপেরেও ছাড়ে না।
Leave a Reply