মো : নূরুল বশির
_________________________
সম্প্রতি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বের বড় হুলো বিড়াল আমেরিকার লম্ফঝম্প বাংলাদেশ সহ সমগ্র পৃথিবীতে একটি উষ্ণ হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা একথা হয়তোবা আমেরিকা ভুলে গেছে।ছয় কংগ্রেস ম্যানের চিঠির বিপরীতে আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের পাল্টা চিঠি ৭১ কে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন আমেরিকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সপ্তম নৌবহর পাঠায় তখন জর্জ হ্যারিশনের কন্ঠে বেজে উঠে – কনসার্ট ফর বাংলাদেশ
My friend came to me…
সেদিনও বাংলাদেশের পক্ষে আমেরিকার জনগন ছিল!! আজও আছে। সেদিনও পাকিস্তানিদের পাশে এদেশীয় রাজাকার আলবদর ছিল আজও ফুকু সহ উচ্ছিষ্টরা আছে।তাতে বাংলা মায়ের বীর সন্তানদের কিছু যায়-আসে না।
তবে কথা হলো সময় থাকতে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে নিতে হয়।বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপটির প্রতি মিয়ানমার, আমেরিকার লোলুপ দৃষ্টি নতুন কিছু নয়। অসমর্থিত তথ্যমতে এই দ্বীপে রয়েছে হীরার চেয়েও দামী প্রাকৃতিক জিনিস। যা বাংলাদেশ রিফাইন করতে পারলে কোন এক সময় বাংলাদেশও হতে পারে পারমাণবিক শক্তিধর একটি রাষ্ট্র। আজ যারা আমাদের বন্ধু আছে কাল তারাও হয়তো চাইবে সেন্টমার্টিনকে।বাংলাদেশ নৌবাহিনী ইতিমধ্যেই নিজস্ব অর্থায়নে এবং নিজস্ব প্রযুক্তিতে নৌবাহিনীর জন্য দুটো জাহাজ তৈরি করেছে।সরকার মেঘা প্রকল্পের অর্থ কাটছাট করে এই বাজেটেই সামরিক খাতে বাজেট বাড়িয়ে দ্রুতই সেন্টমার্টিনে আধুনিক অস্ত্র সহ একটি নৌঘাটি তৈরির পদক্ষেপ নিতে পারে। তুরস্ককের নিকট থেকে স্বল্প মূল্যে এ্যাটাক হেলিকাপ্টার, রাশিয়ার নিকট থেকে সুখই 35, ডেস্ট্রয়ার, নিউক্লয়ার রিএ্যাকটার সম্ভোলিত সাবমেরিন,রনতরী সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে।আমার বিশ্বাস একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই এগুলো করা সম্ভব। আর এসব করতে পারলে আখেরে কাজে লাগবে।বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র নিরাপত্তায় এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সেন্টমার্টিনে নৌঘাটি তৈরি এখন সময়ের দাবি। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা চৌকশদের সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে বিনীত আবেদন বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
সময় গেলে সাধন হবে না।
জয় বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
Leave a Reply