News Headline :
দল নিরপেক্ষ ও নির্বাচন কালীন সরকার গঠন করতে হবে—বরিশালে বাংলাদেশ জাসদ নেতৃবন্দ রোটারী ক্লাব অব বরিশালের উদ্যোগে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরন, গাছের চারা রোপন এবং অরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত উজিরপুর উপজেলার ম্যানেজিং কমিটির শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হলেন পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন বেপারী উজিরপুরের ওটরায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে দূর্ধষ চুরি দুই পূত্র থাকার পরও চাচাকে নি:সন্তান অবস্থায় মৃত্যু দেখিয়ে সমস্ত সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নিলো ভূমিদস্যু বিজন হালদার!! কোটি কোটি টাকা ভারতে পাচার!! উজিরপুরে সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন, আঃরহিম সরদার সভাপতি, শাকিল মাহমুদ বাচ্চু সাধারণ সম্পাদক। ঝালকাঠীতে যাত্রীবাহি বাস পুকুরে পরে মহিলা ও শিশুসহ নিহত ১৭।। আহত ২৫ মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনন্য মানবিক উদ্যোগ বরিশাল-২ আসনে ব্যাপক জনপ্রিয় বাংলাদেশ জাসদ নেতা এড আনিচুজ্জামান আনিচ বরিশালে বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ।। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু
দুই পূত্র থাকার পরও চাচাকে নি:সন্তান অবস্থায় মৃত্যু দেখিয়ে সমস্ত সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নিলো ভূমিদস্যু বিজন হালদার!! কোটি কোটি টাকা ভারতে পাচার!!

দুই পূত্র থাকার পরও চাচাকে নি:সন্তান অবস্থায় মৃত্যু দেখিয়ে সমস্ত সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নিলো ভূমিদস্যু বিজন হালদার!! কোটি কোটি টাকা ভারতে পাচার!!

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের উজিরপুরের কুড়লিয়া গ্রামে ২ পূত্র ও ৫ কন্যা সন্তান থাকার পরও আপন চাচাকে নিস্ব:ন্তান অবস্থায় মৃত্যু দেখিয়ে চাচার সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন ভূমিদস্যু বিজন কুমার হালদার নামের এক ব্যাক্তি। ইতিমধ্যেই চাচার মোট সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রিও করে দিয়েছেন। নিজ বসত বাড়িসহ বাকি সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা নিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পায়তারা করছেন অভিযুক্ত বিজন হালদার। ইতিমধ্যেই তিনি অর্ধকোটি টাকায় বাড়ি বিক্রির বায়না চুক্তি করেছেন বলে এলাকার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এদিকে শুধু চাচাতো ভাইদেরই নয়, নিজের আপন ছোট ভাই বিবেকানন্দ হালদারকেও বঞ্চিত করা হয়েছে সম্পত্তি থেকে। বিএস রেকর্ডে ছোট ভাই বিকেকানন্দকে না রেখে শুধু মাত্র নিজের নাম রাখায় ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। চাচার সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যেই বরিশাল সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে জমি বিক্রির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা কে এম ইশমাম।
সরেজমিনে জানা যায়, উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের কুড়লিয়া গ্রামের বাসিন্দা দ্বিজেন্দ্র নাথ হালদার ও বিশ্বেস্বর হালদার দুই ভাই এস এ রেকর্ডিয় সম্পত্তির মালিক। এদের মধ্যে দ্বিজেন্দ্র নাথ হালদারের ২ পূত্র ও ৫ কন্যা সন্তান এবং বিশ্বেস্বর হালদারের ২ পূত্র ও ৪ কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু দ্বিজেন্দ্র নাথ হালদারের মৃত্যুর পর তার দুই পূত্র প্রদীপ হালদার ও দ্বীপঙ্কর হালদার তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দেখা শুনা করার জন্য আপন চাচা বিশ্বেস্বরের পূত্র বিজন হালদার ও বিকেকানন্দ হালদারকে বুঝিয়ে দিয়ে বিদেশে চলে যান। এসময় চাচাতো ভাইদের জমি দেখাশুনা করার পাশাপাশি জমির ফসল ও ঘেরের মাছ নিজেরাই ভোগ দখল করে আসছিলেন চাচাতো ভাই বিজন হালদার ও বিবেকানন্দ হালদার। কয়েক বছর আগে বিজেন হালদারের আপন ছোট ভাই বিবেকানন্দ হালদারও দেশের বাইরে চলে যান। জমির বিএস রেকর্ড শুরু হলে এ সুযোগে বিজেন হালদার তার বড় চাচা দ্বিজেন্দ্র নাথ হালদারকে নি:সন্তান অবস্থায় মৃত্যু দেখিয়ে চাচাতো ভাইদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে চাচার সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নেন। শুধু চাচাতো দুই ভাই প্রদীপ ও দ্বীপঙ্কর হালদারকে বঞ্চিত করেই খ্যান্ত হননি ভূমিদস্যু বিজন হালদার। আপন ছোট ভাই বিবেকানন্দ হালদার দেশের বাইরে থাকার কারনে তার অজান্তে সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নেন ভূমিদস্যু বিজন কুমার হালদার। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যেই চাচার দুই তৃতীয়াংশ ও নিজের প্রায় সমস্থ্য সম্পত্তি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা অবৈধ ভাবে ভারতে পাচার করেছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় বিজন হালদারের দুই পূত্র এখন ভারতের চাকদাহে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার করা টাকায় সেভানে বিশাল অট্টালিকা ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, বিজন কুমার হালদার একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। তার স্ত্রী সরকারী চাকরি করতেন। দুজনেই এখন চাকরী থেকে অবসরে গেছেন। চাকুরী জীবনে অর্জিত সমস্ত টাকা ও ২০ থেকে ৩০ বিঘা জমি বিক্রির সমস্ত টাকা অবৈধ ভাবে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করেছেন। ইতিমধ্যেই চাচাতো ভাই ও নিজের সিংহভাগ জমি বিক্রি করে ফেলেছেন। এমনকি তার বসত বাড়ি পার্শ্ববত্তি কুড়লিয়া বাজারের ব্যাবসায়ী হরলাল সমদ্দারের কাছে ২৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে সমস্থ্য টাকা নিলেও এখনো দলিল দেননি তিনি। এ নিয়ে ওই ব্যাবসায়ী ও ভূমিদস্যু বিজন হালদারের সাথে মনমালিন্য চলছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চাচাতো ভাইদের জমি উদ্ধারের জন্য সম্প্রতি বরিশাল সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভূমির মালিক দ্বিপংকর হালদার বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। বর্তমানে ওই সম্পত্তি বেচা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা সাবরেজিস্টার ইমরান খান জানান, বিজন হালদার নামের ওই ব্যাক্তি জমির দলিল দিতে এসেছিলেন। তিনি অভিযোগ পেয়ে এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ওই সম্পত্তি দলিল করেন নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিজন হালদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved by Sahoshi Barta
কারিগরি সহায়তা: Next Tech